ইউক্রেনে রুশ অভিযানের মধ্যেই আবারও আলোচনায় তাইওয়ান
অঞ্চলটিতে বিদেশি হস্তক্ষেপ সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। শনিবার এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে চীনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাইওয়ানে যে কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ড মেনে নেবে না বেইজিং। এদিকে চীনের এমন বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে তাইওয়ান।

ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান ঘিরে যখন দুই ভাগে বিভক্ত বিশ্ব, ঠিক সে সময় নতুন করে উত্তেজনা শুরু হচ্ছে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে। চলমান যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন দিয়েছে চীন। অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রতি নিজেদের সমর্থন জানিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তাইওয়ান।

আর এটাই আবারও কাল হয়ে দেখা দিয়েছে তাইপের জন্য। পশ্চিমা ঘনিষ্ঠ তাইওয়ানকে পুনরায় সতর্ক করেছে চীন। শনিবার অঞ্চলটিতে মার্কিন প্রতিনিধির সফরের তীব্র সমালোচনা করেছে বেইজিং।
চীনের পার্লামেন্টের বার্ষিক অধিবেশনের উদ্বোধনী বক্তৃতায় চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তাইওয়ানে বিদেশি হস্তক্ষেপ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ড সহ্য করবে না তার দেশ। একই সঙ্গে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের অঙ্গীকার করেছেন তিনি।

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং বলেন, বেইজিং ‘এক চীন’ নীতি মেনে চলছে। তাইওয়ান চীনের অংশ। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন শান্তিপূর্ণ উপায়ে বাস্তবায়ন করা হবে। তবে অন্য দেশের নাক গলানো সহ্য করা হবে না।

তবে, চীনা প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে তাইওয়ান। উল্টো চাপিয়ে দেওয়া কোনো কিছু মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে তাইপে।
গত কয়েক বছর ধরেই উত্তেজনা শুরু হয়েছে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে।
তাইওয়ানকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের অংশ বলে মনে করে চীন। কিন্তু নিজেদের স্বাধীন এবং গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দাবি করে আসছে তাইওয়ান।

 

 

কলমকথা/ বিথী